ভাঙনের জেরে আতঙ্ক বাড়ছে দামোদর নদ তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের

16th July 2020 10:00 am বাঁকুড়া
ভাঙনের জেরে আতঙ্ক বাড়ছে দামোদর নদ তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : যে কোন সময় নদী গর্ভে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে । প্রতিবছর বর্ষার মরশুম এলেই বিপদ এসে হাজির হয় । ভাঙন রোধে পদক্ষেপ এর আশ্বাস থাকলেও তা শুধু কথার কথা । বারো মাস নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ভাসনা গ্রামের মানুষজন |
দামোদর এর ভয়াবহ ভাঙ্গন ধীরে ধীরে গ্রাস করে চলেছে বিঘের পর বিঘে জমি । প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে দামোদর নদ থেকে ১০০ মিটার দূরে বসতি এই ভাসনা গ্রাম |
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নদীর বুক থেকে বালি তোলার জেরে ক্রমশ গতিপথ বদলাচ্ছে
দামোদর নদ । বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে । সরকারী নির্দেশ ও নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে বালি তোলার কাজ । প্রশাসনের একাংশের মদতে অবৈধ বালি উত্তোলন ও পাচারের কাজ চলছে বলে অভিযোগ । কোনো হেলদোল নেই প্রশাসনের । নদীর পাড় থেকে মেশিন লাগিয়ে নৌকোয় করে অবিরাম বালি তোলার কাজ চলছে বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেননি স্থানীয় প্রশাসন এর  কর্তারা বলেও ক্ষোভ বাসিন্দাদের । নদী পারের মানুষের আশঙ্কায় দিন গোনা এ যেন গ্রাম্য জীবনের বড় সত্য , প্রতিবছরই বর্ষার শুরু থেকেই ভাঙ্গনের আশঙ্কায় দিন কাটান নদী পাড়ের বাসিন্দারা এমনই চিত্র বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের ভাসনা গ্রামের |
দামোদরের উত্তর পারে পূর্ব বর্ধমানের গলসি আর দক্ষিণ পাড়ে ছোট্ট গ্রাম ভাসনা | চাষবাস ই একমাত্র ভরসা গ্রামবাসীদের | সেই গ্রামে এখন ভাঙ্গনের ভ্রুকুটি বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় । দিন দিন বেড়ে চলেছে নদী ভাঙ্গন । যা চিন্তা বাড়িয়েছে ভাসনা গ্রামবাসীদের ।  বিপদে মেটেডাঙ্গা কলোনির মত গ্রামগুলি | যে কারণেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বাঁকুড়ার দামোদরের পারে বসবাস করা বহু মানুষ ।তাদের একটাই দাবি ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করুক সরকার |





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।